আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা অর্জন করতে হবে || নোমান আলী খান
আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা অর্জন করতে হবে || নোমান আলী খান
আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা অর্জন করতে হবে ||
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম [মিউজিক] আলহামদুলিল্লাহ সূরা আল আনফালে একটি আয়াত রয়েছে যা একটি আহ্বান
জানাচ্ছে যেখানে আল্লাহ মূলত উম্মার কাছে একটি দাবি করছেন আমি আগেও এই আয়াতটি নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু আয়াতটির অন্তর্নিহিত অনেক রত্ন এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছে তাই এই খুতবায় আমি কিছু সময় ব্যয় করতে চাই শুধুমাত্র এই আয়াতটির কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রথমে আয়াতটি সরল অনুবাদ করার মাধ্যমে শুরু করছি আয়াতটি নাযিল হয় মুসলিমদের বদর যুদ্ধে বিজয় লাভের পর আমার ধারণা সকলেই বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে জানেন বদর শেষ হয়ে গিয়েছে মুসলিমরা বিজয়ী হয়েছে আর শত্রুরা পরাজিত হয়েছে আর আমরা প্রচুর প্রচুর প্রচুর পরিমাণে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ
সংগ্রহ করেছি এটা ছিল আনন্দ উদযাপনের একটা উপযুক্ত সময় দীর্ঘ সময় পর এই প্রথম মুসলিমরা বড় কোন সুসংবাদ পেলেন আর এই বিজয়ের ঠিক পরেই আল্লাহ বলছেন শত্রুদের জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করো আইদ্দুলাহুম তোমরা মাত্র বিজয় লাভ করেছো আর আল্লাহ বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হও এটা প্রত্যাশিত যে আল্লাহ যুদ্ধের আগে বলবেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হও কিন্তু এখানে আল্লাহ বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হও বিজয়ী হওয়ার পরে আল্লাহ আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন যে তারা ফিরে আসবে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি প্রকৃতপক্ষে তাদের জন্য প্রস্তুত
হও বলার মাধ্যমে আল্লাহ এটাও জানিয়ে দিচ্ছেন যে এই বিজয়ের জন্য তোমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছো তা পরবর্তী যুদ্ধের জন্য যথেষ্ট নয় তোমাদের আরো বেশি প্রস্তুতি প্রয়োজন সেটাই আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন প্রতিটা বিজয়ের ক্ষেত্রেই পরবর্তী চ্যালেঞ্জটা আগেরটার চেয়েও বড় হয়ে থাকে তাই এখনই তোমাদের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে হ্যাঁ উদযাপন করার মতো কিছুটা সময় তো রয়েছে এটা ভালো যে আমরা বিজয় লাভ করেছি কিন্তু এর ঠিক পরেই তোমাদের মনোযোগী হতে হবে কারণ শত্রু এখনো নির্মূল হয়নি এখন কিভাবে আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত হব আল্লাহ বলছেন যে কোন ধরনের শক্তি সম্ভব তা
অর্জনের জন্য যথা প্রস্তুতি গ্রহণ করোন যেকোনো ধরনের শক্তি সম্ভব তা অর্জনের জন্য যথাসাধ্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো যেই শক্তি সম্ভব তোমরা সংগ্রহ করো আরবি ভাষার দৃষ্টিকোণ থেকে হলো যার অর্থ আল্লাহ এখানে শক্তির সংজ্ঞাকে সীমাবদ্ধ করেননি আল্লাহ এটাকে একটি মাত্র জিনিসে সীমাবদ্ধ করেননি আল্লাহ বলতে পারতেন যে আরো বেশি অস্ত্র সংগ্রহ করো অথবা সেনাবাহিনীকে আরো বেশি প্রশিক্ষিত করো তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি বলেছেন সম্ভাব্য সকল ধরনের শক্তি এখানে প্রথম লক্ষণীয় বিষয় হলো আল্লাহ কখনোই আমাদেরকে প্রস্তুতির গন্ডির বাইরে রাখছেন না তোমরা মনে করেছো যে যুদ্ধ
সমাপ্ত হবার সাথে সাথে প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়েছে কিন্তু না যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার ঠিক পরেই তাৎক্ষণিক পরবর্তী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন দ্বিতীয় যে বিষয়টি আমরা এখানে শিখছি যার প্রতি আমি আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করব তা হলো ক্ষমতা শুধু একক বিষয় নয় ক্ষমতা বলতে কি বুঝায় এর সংজ্ঞা সম্পর্কে সরল ধারণা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে স্বরূপ এখনকার সময়ে অনেক মানুষ যারা গভীরভাবে চিন্তা করে না তারা মনে করে যে যদি নির্বাচন সংঘটিত হয় সেই নির্বাচনে যেই জয়ী হবে সেই ক্ষমতার অধিকারী তাই না আমরা এভাবে কথা বলি যে এই ব্যক্তিটি প্রধানমন্ত্রী
হয়েছে অতএব সে ক্ষমতার অধিকারী এই ব্যক্তি ইউনাইটেড স্টেটস এর প্রেসিডেন্ট হয়েছে সেই ক্ষমতার অধিকারী কিন্তু আপনি যদি রাজনীতি এবং অর্থনীতি সম্পর্কে কিছুটা জানেন তাহলে বুঝবেন যে এই মানুষগুলো মোটেই ক্ষমতার অধিকারী নয় তারা আসলে পুতুল মাত্র তাদের পেছনে এমন মানুষ রয়েছে যারা অনেক বেশি শক্তিধর আর যেই মানুষগুলো আসলেই শক্তির অধিকারী তারা অনেক বেশি অদৃশ্য সেই সকল মানুষদের তুলনায় যাদেরকে তারা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে যাতে আপনারা মনে করেন যে এই ব্যক্তিগুলোই শক্তির অধিকারী আপনি প্রধানমন্ত্রীর উপর রাগান্বিত হয়ে থাকেন কারণ আপনি তো জানেন
না যে কে তাকে ব্যবহার করছে তো তাদের সামনে এই পুতুলগুলো রয়েছে যাদেরকে তারা ব্যবহার করে যদি কোন একজন তাদের কার্যসিদ্ধি না করে তারা তাকে নির্বাচনে পরাজিত করিয়ে দেয় তার স্থানে অন্য কাউকে নিয়ে আসে আবার অন্য কাউকে আবার অন্য কাউকে তারা পরোয়া করে না যে সে কোন দলের নেতা কারণ ক্ষমতা যেভাবে কাজ করে তা হলো এর নিজস্ব কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে এর নিজস্ব উদ্দেশ্য রয়েছে তো একটি বিষয় আমি মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই বিশেষত এই বিষয়টিতে আমি তরুণ মুসলিমদের যে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই তা হলো ক্ষমতা নিয়ে সরল ধারণা পোষণ না করা সেনাবাহিনীর বিশাল আকারে কিছুই আসে
যায় না সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা নেই বরং কে সেই সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেই সেনাবাহিনী কোথায় যাবে কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে বন্দুকের নলটি কোন দিকে তাক করা থাকবে কোন দিকে ট্যাংক চলবে এই সিদ্ধান্তগুলো কোথায় তৈরি হচ্ছে সেখানেই ক্ষমতা রয়েছে সেটাই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস এখন আল্লাহ মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলছেন ক্ষমতা তৈরি করো তো এখন এটা একটা অনুশাসনে পরিণত হলো প্রত্যেক মুসলিমের এটা চিন্তা করতে হবে যে আমাদেরকে ক্ষমতা তৈরির কথা ভাবতে হবে আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেন ক্ষমতা তৈরির জন্য আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ
করার কিন্তু তারপর আল্লাহ আরো যোগ করলেন আর বিশেষভাবে অশ্বারোহী সেনাদল তৈরি করো আশা রহিম মানে ঘোড়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ঘোড়া এখন আসুন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন থেকে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি আপনারা জানেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদিনাতে হিজরত করেছিলেন তখন মদিনার অবস্থা কি ছিল মদিনাতে অর্থনৈতিক সংকট চলছিল আপনি যদি এটা না জেনে থাকেন এখন জেনে নিন মদিনাতে ধনী মুসলিম ছিল না সেখানকার মুসলিমরা ছিল খুবই দরিদ্র মুহাজিরগণ ইতিমধ্যেই তাদের সকল সম্পদ হারিয়েছেন যেহেতু তারা ছিলেন
শরণার্থী তো তারা ইতিমধ্যেই তাদের কোন অর্থ ছিল না আর আনসারগণ যারা তাদেরকে সহায়তা করেছিলেন তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন আল্লাহ তাদের ব্যাপারে বলছেন তারা নিজেরাও অনাহারে থাকে তো এখানে শরণার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে দরিদ্র মানুষেরা এটাই মদিনার পরিস্থিতি তো সাধারণভাবে বলতে গেলে তারা সম্পদশালী ছিলেন না আল্লাহ তাদেরকে বলছেন অশ্বারোহী বাহিনী প্রস্তুত করো অশ্বারোহী বাহিনী কি ঘোড়া তাই এখন আরব উপদ্বীপে এই ঘোড়া কি সস্তা ছিল নাকি ব্যয়বহুল এটা অত্যন্ত বয়বহুল এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল আর আল্লাহ কি একটি অথবা দুইটি ঘোড়ার কথা বলেছেন আপনি যদি
অশ্বারোহী বাহিনী তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে কয়েকশো ঘোড়ার প্রয়োজন হবে আপনার কমপক্ষে 100 ঘোড়া প্রয়োজন প্রথমে আসে ঘোড়া ক্রয়ের বিষয়টি আপনি যদি এমন ঘোড়া চান যে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে আসবে সেক্ষেত্রে আপনার ভালো জাতের ঘোড়া প্রয়োজন আপনার এমন ঘোড়া প্রয়োজন নেই যে গাঁধার মতো বরং আপনার তরতাজা ঘোড়া প্রয়োজন আপনার bmw ঘোড়া প্রয়োজন আর ঘোড়াটি যত শক্তিশালী গতিময় যত উন্নত জাতের হবে সেটি ততটাই ব্যয়বহুল হবে এর মানে আপনার অর্থ প্রয়োজন এই ঘোড়াগুলো কোথা থেকে পাবেন আর শুধুমাত্র ঘোড়া থাকলেই তো হবে না ঘোড়াগুলো থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে তো
আপনাকে আস্থাবল নির্মাণ করতে হবে শুধু তাই না ঘোড়াগুলোকে খাওয়ানোর জন্য আপনাকে কৃষি কাজের মাধ্যমে খড় উৎপন্ন করতে হবে আর ঘোড়াগুলোর বর্য পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে পরিপূর্ণ একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে আর আপনাকে সম্পূর্ণ একটা মানবসম্পদ বিভাগ তৈরি করতে হবে যাদের একমাত্র কাজ হবে ঘোড়াগুলোকে পরিষ্কার করা প্রশিক্ষণ দান করা এবং তত্ত্বাবধান করা এরপর ঘোড়ার পায়ে এক ধরনের জুতা পরাতে হয় এ কাজে নিয়োজিত একটা সম্পূর্ণ শিল্প কারখানা নির্মাণ করতে হবে যেখানে এই জুতা নির্মাণের জন্য বিশেষজ্ঞ কারিগর প্রয়োজন হবে এই জুতাগুলো নির্মাণের জন্য আপনার
ধাতব পদার্থের প্রয়োজন হবে যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে আপনাকে সম্পূর্ণ একটা শিল্প কারখানা সৃষ্টি করতে হবে যেখানে ঘোড়ার জুতা তৈরি হবে এটা ছাড়াও ঘোড়া উপরে বসার জন্য আপনার চামড়ার আসন প্রয়োজন সেটা কে তৈরি করবে এর জন্য চামড়া কোথায় পাবেন গদি কোথায় পাবেন কোথায় পাবেন আকার নির্ধারণী আর এই সবকিছু করার পর আপনার এমন মানুষের প্রয়োজন হবে যারা তরুণ যোদ্ধাদের ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণ প্রদান করবে তো আল্লাহ যখন বলছেন সকল ধরনের শক্তি সঞ্চয় করো তো আমরা মনে করি হ্যাঁ আমরা এটা করে ফেলবো আমরা জিহাদ করব কিছুক্ষণের জন্য একটু থামুন একটু থামুন আল্লাহ বলেছেন
ঘোড়া প্রস্তুত করো আর আমরা মনে করি হ্যাঁ সামান্য ঘোড়াই তো কিন্তু আল্লাহ যখন ঘোড়ার কথা উল্লেখ করছেন তিনি মূলত গোটা একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান করেছেন এটা নির্মাণ করতে হবে আল্লাহ যে আহ্বান করেছেন তা আপনি করতে পারবেন না যদি বিনিয়োগ সৃষ্টি না করেন এছাড়া ঘোড়া ক্রয় করার অর্থ আপনি পাবেন না আর এই কর্মসংস্থান গুলো তৈরির জন্য আপনার কাছে অর্থ থাকবে না বিনিয়োগ ছাড়া আপনি এটা পারবেন না এখন আমি কিছু সময়ের জন্য এখানেই থামছি এই আয়াতটিতে আরো অনেক কিছু বলা হয়েছে কিন্তু আমি সেই চিন্তা কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে রাখছি
মুসলিমরা একটা সংকটের মধ্যে রয়েছে আর এই গত এক বছরে এটা বেশ স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে যদিও আমাদের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার 20 শতাংশেরও বেশি গণহত্যা বন্ধের জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত কান্না এবং চিৎকার বাস্তবিক অর্থে কিছুই করেনি বাস্তবিক অর্থে এটা কিছুই করেনি আর আমরা সকলেই জানি যে যা ঘটছে তার জন্য অমুসলিমরা যখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তখন এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিণত হয়েছে পৃথিবী এটাকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণ করা শুরু করেছে এজন্য না যে মুসলিমরা বলেছে নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের হত্যা করা উনচিত হাসপাতাল গুলোতে বোমা নিক্ষেপ করা
উনচিত স্কুলে বোমা নিক্ষেপ করা উনচিত নিরাপরাধ মানুষকে কারাগারে রাখা উচিত এটা এজন্য গুরুত্ব পায়নি যে মুসলিমরা এটা বলেছে কারণ মুসলিমরা এটা বলে আসছে আরো 70 বছর ধরে বরং এটা এজন্য ঘটেছে কোন এক শ্বেতাঙ্গ তরুণী টিকটকে এ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেছে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কি ঘটে যাচ্ছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ এটা দেখলো আর এখন এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়ে গেল এখন পৃথিবী বলছে যে হ্যাঁ এটা আসলেই একটা সংকট জানেন এটা কি প্রমাণ করছে এটা প্রমাণ করছে যে আমরা যত উচ্চস্বরেই চিৎকার করি না কেন কেউই তা শুনছে না কেউই গুরুত্ব দিচ্ছে না জানেন কখন মানুষ
গুরুত্ব দেয় না যখন আপনার কোন ক্ষমতা থাকে না তখনই মানুষ গুরুত্ব দেয় না যখন আপনার কাছে ক্ষমতা থাকে তখন আপনি একটা কথা বলেন আর গোটা পৃথিবীতে কম্পন শুরু হয় যখন আপনার ক্ষমতা না থাকে যত জোরে সম্ভব আপনি চিৎকার করতে পারেন কিন্তু এতে কোন পরিবর্তন আসে না এতে কোন পরিবর্তন আসে না কখনো কখনো আপনার যখন ক্ষমতা থাকে আপনার মুখ খোলারও প্রয়োজন হয় না আপনা আপনি কাজ হয়ে যায় কোন কোন মানুষের ক্ষমতা রয়েছে তার পরিবারের মাঝে আর জানেন সেটা কিভাবে বোঝা যায় যখন সে হেঁটে যায় সকলের আচরণের ধরণ পাল্টে যায় তাকে কণ্ঠস্বর উঁচু করতে হয় না তাকে চিৎকার চেচামেচি
করতে হয় না তাকে কাউকে আঘাত করতে হয় না কারণ ইতোমধ্যেই তার ক্ষমতা রয়েছে তো এটা আমাদেরকে উপলব্ধি করায় আর এটা স্বাচ্ছন্দ দানকারী অনুভূতি না মুসলিমরা ফিলিস্তিনের এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কে একটা বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছে আমাদেরকে আয়নার দিকে তাকিয়ে উপলব্ধি করতে হবে যে কতটা ক্ষমতাহীন আমরা হয়ে গেছি এটা কুৎসিত একটা বিষয় ক্ষমতাহীন বোধ করাটা একটা কুৎসিত বিষয় বিশেষ করে পুরুষ মানুষেরা বিষয়টা লক্ষ্য করুন যখন আপনি কাজ খুঁজে পান না যখন আপনি কাজ পেতে সক্ষম না যখন আপনি নিজ পরিবারের ব্যয় বহন করতে সক্ষম না হন
যখন আপনি এমনকি নিজের দায়িত্ব বহন করতে পারেন না অন্য কাউকে আপনার দায়িত্ব বহন করতে হয় আপনি কি বুঝতে পারছেন সেটা কতটা লজ্জাজনক যখন আপনাকে কারো থেকে টাকা ধার করতে হয় যখন আপনি নিজে চাকুরি খুঁজে পান না যখন আপনার বোন চাকুরি করেন আর তিনি আপনার খরচ প্রদান করেন সেটা আপনার জন্য কতটা লজ্জাজনক এবং অপুরুষিত কারণ একজন পুরুষের মর্যাদা হলো সে অন্য মানুষের মুখাপেক্ষী নয় এটা পুরুষ মানুষের মর্যাদার অংশ আমাদের ইজ্জত যদি থাকে আমাদের যদি আত্মমর্যাদা থাকে যা আল্লাহ পুরুষ মানুষকে দান করেছেন সেক্ষেত্রে এটা মৃত্যুর সমান মনে হয় যখন আপনি কারো সামনে
হাত পাতেন এবং বলেন দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন এটা মৃত্যুর মতো মনে হয় এটা মৃত্যুর চেয়েও বেশি মনে হয় যে আমি দায়িত্ব নিতে অক্ষম আমি কিছু করতে অক্ষম এখন উম্মাহ হিসেবে আমাদের অবস্থা চিন্তা করুন যদিও ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহ আমাদেরকে হালাল জীবিকা প্রদান করুন এবং সর্বদা আমাদের পরিবারের দায়িত্ব বহন করার এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করার সক্ষমতা প্রদান করুন এবং আমাদের সকলকে রক্ষা করুন এমন অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে যখন আমাদেরকে অন্য কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে আমরা আল্লাহর কাছে তা থেকে সুরক্ষা প্রার্থনা করি কিন্তু উম্মাহ হিসেবে
আমাদের অবস্থা লক্ষ্য করুন ব্যক্তিগতভাবে না রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই গোটা উম্মাহকে একটি দেহের সাথে তুলনা করেছেন তাই না তিনি বলেছেন এটা এক অভিন্ন দেহের মত আমরা যদি একটি দেহ হই আমরা কি সর্বদা ভিক্ষা করছি না আমরা কি সর্বদা অন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইছি না আমরা কি সর্বদা তাদের দূতাবাস গুলোর সামনে এবং তাদের সরকারি আমলাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি না যে দয়া করে থামুন আমরা আপনাদের কাছে সাহায্য চাই দয়া করে আমাদের কথা শুনুন এটাই কি আমাদের অবস্থা না আর এটা বিশেষভাবে তরুণদেরকে খুবই ক্ষুব্ধ করে তোলে আল্লাহ আমাদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালী
একটি আয়াত দান করেছেন ক্ষমতা তৈরি করো ক্ষমতা তৈরি করো এটা তোমাদের প্রয়োজন হবে আর আল্লাহ আমাদের বলছেন যে কিভাবে ক্ষমতা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে শিল্প কারখানা তৈরি করতে হবে সমস্যা হলো বিশেষত তরুণরা যারা এখন শুনছেন আধুনিক বিশ্বে বেশিরভাগ তরুণদের ক্ষেত্রে কি ঘটে আপনি যখন বেড়ে উঠতে থাকেন আপনাকে বলা হয় তোমাকে স্কুলে যেতে হবে এবং স্কুলে ভালো ফলাফল করতে হবে এরপর একটা চাকুরি পেতে হবে আর যখনই তুমি চাকুরি পাবে তখন তোমার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে আর যখন তুমি এই পরিমাণ টাকা উপার্জন করবে তখন বিয়ে করতে পারবে যখন তুমি বিয়ে করবে এরপর একটা ফ্ল্যাট কেনার
চেষ্টা করবে একটা ফ্ল্যাট হওয়ার পর এখন তোমাকে বাড়ির মালিক হতে হবে এরপর একটা গাড়ি কিনতে হবে এরপর সন্তান হবে আর এর সাথে আসবে সন্তানের খরচ তো আপনি যে জীবনের বেশিরভাগ অংশই এই চিন্তায় ব্যয় করছেন যে পরবর্তী চেকটি কোথা থেকে আসবে অর্থ কোথা থেকে আসবে এর মাঝখানে সুযোগ পেলে উম্মার সমস্যাগুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে হবে কিন্তু বাস্তবিকভাবে বলতে গেলে যেহেতু আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতটাই আচ্ছন্ন তাই আপনি বড় কোন চিন্তা করতে পারেননি ফলে আপনার আসলে কোন ক্ষমতাই অর্জিত হয়নি অথবা আপনি ক্ষমতাহীন এখন অন্য ক্ষেত্রগুলোতে কি ঘটে
এটা এমন এক বাস্তবতা আমি চাই আপনারা এটা উপলব্ধি করুন আল্লাহ পৃথিবী পরিচয় জন্য একটা নিয়ম তৈরি করে দিয়েছেন আর সেই নিয়ম সর্বদায় বিদ্যমান থাকবে এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়েও এই নিয়ম বর্তমান ছিল তো উদাহরণস্বরূপ হিজরতের সময়ের কথা যা কিনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর একটি হিজরতের সময় আল্লাহ আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলেন আর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হিজরতকে সফল করতে সক্ষম হয়েছিলেন কারণ তিনি উট ক্রয়ের জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন তিনি পথ
প্রদর্শকের জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন তিনি ভ্রমণের জন্য ব্যয় করে তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী আর হিজরতের সেই যাত্রাটিকে সহায়তা করার জন্য তিনি সেই সম্পদকে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন আবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি নিজে উপার্জন করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি দিন-রাত রাসূল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রাসূল হিসেবে কিভাবে আপনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন যখন আপনার কোন উপার্জন নেই খাবার কোথা থেকে আসবে আর এটা সম্ভব হয়েছিল কারণ খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা
আনহার গোটা একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কার্য অর্থায়ন করে যাচ্ছিল এরপর তিনি তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছিলেন এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মহৎ মিশনটি অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিরাতের পেছনেও ব্যবসায়িক সহায়তা জড়িত ছিল তাই না তেমনটাই কি ঘটেনি আর এখন কি ঘটে জানেন এখন কি ঘটে যখন আমরা বলি যে মুসলিমদেরকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে মুসলিমদেরকে শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে আস্তাগফিরুল্লাহ ভাই অর্থনীতি তো দুনিয়া আমাদেরকে আখিরাত নিয়ে চিন্তিত
হওয়া উচিত তো আল্লাহ যখন বলছেন যে বাহিনী প্রস্তুত করো আর এই কারণে কোন ব্যক্তি কিছুটা অর্থ সংগ্রহ করেছে ঘোড়া কেনার জন্য তখন আমরা বলছি আস্তাগফিরুল্লাহ ভাই কেন আপনি অর্থ সংগ্রহ করেছেন দুনিয়া নিয়ে চিন্তা করবেন না তখন তার মুখে একটা চপট আঘাত দিয়ে আপনার বলা উচিত যে যান কোরআন পাঠ করুন গিয়ে আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমতা সৃষ্টি করতে বলছেন আর আপনি ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারবেন না কি সৃষ্টি ছাড়া সম্পদ আপনাকে সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে আজকের এই উপস্থিতির মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছেন ব্যবসায়ী আর আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাদেরকে সফলতা দান করেছেন হয়তো আপনি একটি
রেস্তরার মালিক হয়তো আপনি মুদি দোকানের মালিক হয়তো আপনি পেট্রোল পাম্পের মালিক আমি জানিনা আপনারা কিসের মালিক হয়তো আপনারা হাউজিং ব্যবসা করছেন আল্লাহ আপনার ব্যবসায় সফলতা প্রদান করেছেন আর আল্লাহ যদি ব্যবসায় আপনাদের সফলতা দিয়ে থাকেন জানেন আপনার প্রতি আমার উপদেশ কি তা হলো আমাদেরকে অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে আমাদেরকে ক্ষমতা তৈরি করতে হবে মুসলিমদের মধ্যেই অর্থ আবর্তিত হতে হবে যদি আপনার একটি ব্যবসা থাকে আর আপনার গাড়ি মেরামত করার প্রয়োজন হয় তাহলে তাহলে গাড়িটি কাছের মুসলিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মেরামত করুন আবার যখন তিনি
যন্ত্রাংশ ক্রয় করবেন তার সেটা মুসলিমদের কাছ থেকে ক্রয় করা উচিত এভাবে একে অপরকে সহায়তা করতে হবে আর যখন মুসলিম ব্যবসাগুলো সাফল্য লাভ করতে থাকবে তখন তারা বেশি বেশি মুসলিমদেরকে নিয়োগ দিতে শুরু করবে আর ধীরে ধীরে তারা এই অর্থনীতি গড়ে তুলবে এখন অধিক সংখ্যক মানুষ যখন অধিক পরিমাণ অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করবে তখন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আরো শক্তিশালী হতে থাকবে এটা সর্বশেষ ভাবনা যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেহেতু হাতে খুব একটা সময় বাকি নেই আমরা অভিযোগ করি যে উদাহরণস্বরূপ ইসরাইলি লোভী আমেরিকান রাজনীতিবিদ্দের পেছনে শত শত মিলিয়ন ডলার খরচ করে তাদের
সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য আমরা কখনো এই প্রশ্ন করি না যে কোথা থেকে তারা এই শত শত মিলিয়ন ডলার পেল আমরা কখনো এই প্রশ্ন করি না যে আমাদের কাছে যদি এই শত শত মিলিয়ন ডলার থাকতো আমরা কি তা এভাবে ব্যয় করতাম রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য নাকি তা প্রমোদ ভ্রমণের পিছনে ব্যয় করতাম আমাদের মানসিকতাটা কি আমরা ক্ষমতা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে চিন্তা করি না আমরা ক্ষমতার জন্য বিনিয়োগ করি না আমরা বিনিয়োগ করি হয়তো আমাদের নিজেদের জন্য অথবা যখন কোন সংকটের কারণে অনুশোচনা বোধ করি তখন সেই সংকটে সাহায্যের উদ্দেশ্যে ব্যয় করি কিন্তু যেই সকল মানুষ ক্ষমতা সম্পর্কে
বোঝে জানেন তারা কোথায় বিনিয়োগ করে তারা বিনিয়োগ করে গণমাধ্যমে তারা বিনিয়োগ করে শিক্ষা খাতে তারা বিনিয়োগ করে ব্যবসায় তারা এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করে আর যখন তারা এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করে তখন তারা এমনকি রাজনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে গণমাধ্যমকে যেই নিয়ন্ত্রণ করবে রাজনীতিতে তার বড় একটা প্রভাব থাকবে ব্যবসা-বাণিজ্যকে যে নিয়ন্ত্রণ করবে তার একটা বড় প্রভাব থাকবে শিক্ষা খাতকে যে নিয়ন্ত্রণ করবে রাজনীতিতে তার একটা বড় প্রভাব থাকবে মুসলিমরা যদি ক্ষমতা তৈরি করতে হয় তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে সেই ক্ষমতার পেছনে কি রয়েছে আর এরপর আমাদের
সেই ক্ষমতা তৈরি করা শুরু করতে হবে আল্লাহ বলেছেন আর মুসলিমরা যখন এই ধরনের ক্ষমতা তৈরি শুরু করবে আমরা জানি তখন কি ঘটবে বলছেন এমনকি তোমাদের এই ক্ষমতা তৈরীকালীন সময়েও আল্লাহর শত্রুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে আপনারা জানেন উপনিবেশকারী শক্তি ব্রিটিশ এবং ফ্রেঞ্চ যখন মুসলিম বিশ্বকে উপনিবেশে পরিণত করেছিল তারা বুঝতে পেরেছিল যে মুসলিমরা কত শক্তিশালী তারা সেটা বুঝতে পেরেছিল তো এমনকি তারা প্রস্থান করার আগেও কিছু অপকর্ম করে গেছে তারা প্রস্থান করেও সেখানে থেকে গিয়েছিল আপনারা তা জানেন তাই না তারা আলজেরিয়া থেকে প্রস্থান করেছিল
কিন্তু ছেড়ে যায়নি তারা সেনেগাল থেকে প্রস্থান করেছিল পাকিস্তান থেকে প্রস্থান করেছিল বাংলাদেশ থেকে প্রস্থান করেছিল কিন্তু ছেড়ে যায়নি তারা কি রেখে গিয়েছিল তারা এমন সব পদ্ধতি রেখে গিয়েছিল যার ফলে মুসলিমরা কখনোই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে না তাদেরকে সবসময় ঋণের উপর থাকতে হবে তাদেরকে সবসময় এভাবে হাত পেতে থাকতে হবে তো যদিও আমরা প্রস্থান করছি আমরা তাদেরকে ভিক্ষুক হিসেবে রেখে যাচ্ছি তারা তাদের গোটা পদ্ধতিকে নির্মাণ করেছে তাদের গোটা সম্পত্তি এবং সাম্রাজ্যকে নির্মাণ করেছে মুসলিমদের শ্রম এবং ঘামে এর বিনিময়ে
কিন্তু মুসলিমদেরকে তারা ভিক্ষাবৃত্তি এবং ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় রেখে গেছে এটাই তাদের পরিকল্পনা কৌশলটি সামরিক নয় কৌশলটি আসলে অর্থনৈতিক দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমরা ব্রিটিশদের দ্বারা বিজিত হয়েছিল আমরা সেটা জানি আপনারা ইংল্যান্ডে বসবাস করেন আপনারা জানেন যে এই দেশটি কত ছোট তাই না আপনারা কি নিজে নিজে কখনো চিন্তা করেছেন যে এই ছোট জাতিটা কিভাবে এটা করলো আর দক্ষিণ এশিয়াতে আমাদের জনসংখ্যা অনেক কিভাবে এই অল্প কিছু মানুষ সেই গোটা একটা মহাদেশকে উপনিবেশে পরিণত করল কিভাবে তারা এটা করল কিছুটা ইতিহাস অধ্যয়ন করুন আর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে তারা তাদের
ব্যবসায়িক পদক্ষেপ গুলোতে কৌশলী ছিল তারা ব্যবসায়ের মাধ্যমে ক্ষমতা তৈরি করেছিল তারা আসলে সেটাই তৈরি করেছিল তারা এই বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝে এখনকার সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ এবং সংকটের মূলে রয়েছে অর্থনীতি এর মূলে রয়েছে কোন এক পক্ষের ব্যবসায়িক স্বার্থ এই সবকিছুর মূলে এটাই যখন মুসলিমরা এটা বুঝতে পারবে এমনকি স্থানীয় তখন মসজিদের ভূমিকা কি হবে অবশ্যই এখানে আমরা দ্বীন শিখবো এখানে আমরা নামাজ পড়বো আমরা আমাদের সন্তানদেরকে এখানে আনবো এখানে আমাদের সন্তানদেরকে কোরআন শিখাবো কিন্তু এখান থেকে তরুণ যুবকরা অভিজ্ঞ মানুষদের
কাছ থেকে এটাও শিখবে যে কিভাবে নতুন ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা করা যায় এটা তাদের কাজের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির কেন্দ্রে পরিণত হতে হবে এখান থেকে ইন্টার্নশিপ শুরু হতে হবে এ স্থানটি থেকে আমাদের ক্ষমতা তৈরির চর্চা শুরু করতে হবে এরকমটা করতে পারলে এক দশকের মধ্যে 10-15 বছর এর মধ্যে মুসলিমরা অর্থনৈতিকভাবে লন্ডনের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্প্রদায়ে পরিণত হবে আপনারা কি মনে করেন যে এটা ছোট কোন বিষয় আমাদের এই সম্প্রদায় এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে আমাদেরকে রাজনীতিবিদদের কাছে যেতে হবে না রাজনীতিবিদরা আমাদের কাছে আসবে আপনারা কি চান তারা আমাদেরকে এই প্রশ্ন করবে কারণ
অন্য ক্ষমতাশীল সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তারা রাজনীতিবিদ্দের কাছে যায় না বরং রাজনীতিবিদরাই তাদের কাছে আসে কারণ তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে আল্লাহ ইতিমধ্যেই আমাদেরকে পরিষ্কার জবাব দিয়ে দিয়েছেন তিনি আমাদেরকে বলেছেন একমাত্র এই উপায়েই শত্রুরা তোমাদের ভয় করবেনা আল্লাহর শত্রু তিনি আরো বলেছেন এটাই সর্বশেষ বিষয় যা আমি আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব আল্লাহ বলছেন যাদেরকে তোমরা ভীতি প্রদর্শন করছো তারা আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রু কার কথা আল্লাহ প্রথমে উল্লেখ করেছেন তিনি নিজের কথা প্রথমে উল্লেখ করেছেন আদুল্লাহ প্রথমে এসেছে আর তারপর আদুয়াকুম কেন আপনাকে
বুঝতে হবে যে আল্লাহ আমাদেরকে এই ক্ষমতা তৈরি করতে বলেছেন আমাদের জন্য না আমাদের শত্রুদের বিরোধিতার জন্য না আদুল্লাহ কথাটি প্রথমে উল্লেখ করার কারণেই আমি এই কাজটি করছি এজন্য যে আমি প্রথমত আল্লাহ প্রদত্ত মিশন বাস্তবায়নের কাজ করছি আমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার এজন্যই আমি ক্ষমতা তৈরি করছি এজন্যই আমি তরুণদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এজন্যই আমি তাদের মাঝে বিনিয়োগ করছি এজন্যই আমি চাই যে তারা বেড়ে উঠুক জানেন আমরা কি করি আমাদের এগুলো ত্যাগ করতে হবে জানেন এখনকার সময়ে মুসলিমরা কি করে জিনিসটা কুৎসিত কিন্তু সত্য কথাটা আমাকে বলতে হবে আমাদের
সমাজে আমরা যা করি তা হলো যদি কেউ সফলতা অর্জন করতে নেয় সকলে মিলে তাকে আক্রমণ করতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ব্যর্থ হয়ে যায় তারপর অন্য কেউ হয়তো সফল হয়ে যায় তখন বলি এই লোক ভেবেছে যে সে অনেক ভালো মানুষ ইত্যাদি তার নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করি তার আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করি ভেতর থেকেই তাকে ধ্বংস করে দেই যদি কেউ একটি রেস্তরা উদ্বোধন করে আর এটা খুবই সফলতা পায় তখন আমরা বলি সে কিভাবে এটা করল এটা তো আমার করার কথা ছিল আমি সেখানে খাবার খাবো আর রেস্তরা বন্ধ হওয়ার পর আমি শেফের সাথে কথা বলব হেই আমার সাথে কাজ
করেন একমাত্র যেই উপায়ে আপনি নিজের ব্যবসার উন্নতি করেন তা হলো অন্য কারো ব্যবসা ধ্বংস করার মাধ্যমে জানেন এটা কি এটা হলো যখন আমরা একে অপরের শত্রুতে পরিণত হই আমরা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখি প্রকৃতপক্ষে এটা এখন এত খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এমনকি একই পরিবারের মধ্যে যদি এক ভাই অন্য ভাইয়ের তুলনায় বেশি সাফল্য অর্জন করে তখন যেই ভাইটি সফল হয়নি সে তার বড় ভাইকে শত্রু ভাবতে শুরু করে সে এটা মেনে নিতে পারে না সে এটা সহ্য করতে পারে না আমাদের নিজেদের মধ্যে উলাইয়া থাকতে হবে আপনারা জানেন আল্লাহ বলছেন কাফেররা একে অপরের সহায়ক জানেন
তাদের ক্ষেত্রে কি ঘটে যখন তাদের কেউ ব্যবসা শুরু করে অন্যরা বলে তোমার ব্যবসা ভালো চলছে কিন্তু আমার মনে হয় এতে আরো অনেক উন্নতি করা সম্ভব আমি একটা রেস্তরা খুলেছিলাম যেটা ঠিক তোমারটার মতোই ছিল কিন্তু আমি সফলতা পেয়েছিলাম এভাবে এভাবে আমি যা করেছি তা থেকে তোমাকে বলছি ফ্রি উপদেশ দিচ্ছি আসো এটা করতে হবে ওটা করতে হবে আসো তোমাকে এভাবে প্রশিক্ষিত করি এবং এভাবে তৈরি করি তারা একে অপরকে তৈরি করে যাচ্ছে তারা একে অপরকে ছিন্ন ভিন্ন করছে না যে মুহূর্তে সে সফলতা পায় তখনই বলে আমি তো সফলতার একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি এখন আমার নিজের লোকদের প্রতি
মনোযোগ দিতে হবে আমি ফিরে আসবো এবং বলবো হেই আমি সফলতা পেয়েছি কে আছো যে এটা করতে আগ্রহী আসো তোমাকে উঠতে সহায়তা করি এটাই উলাইয়ার মানসিকতা এজন্যই আল্লাহ বলছেন আল মুমিনুনা মুমিনাতম আউলিয়া ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার নারীগণ একে অপরের মিত্র তারা একে অপরকে সহায়তা করে আমাদের সংস্কৃতিতে এমন কিছু বিষয় সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহর শপথ আমি যদি এটা নিজের চোখে না দেখতাম তাহলে বিশ্বাস করতাম না আমাদের এমন মানসিকতা তৈরি হয়েছে আমি একটা জায়গায় গিয়েছিলাম যেটা একটা অমুসলিম দেশ আর সেখানে অনেক মুসলিম ডাক্তার রয়েছে সেই দেশে ডাক্তাররা
ভালো অর্থ উপার্জন করে দেশটির নাম বলছি না একজন মুসলিম ডাক্তারকে দেখেছি যিনি ছিলেন একটি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান তিনি সফল আর একটি অনুষ্ঠানে তার তরুণ মুসলিম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদের সাথে সাক্ষাৎ হয় যারা তার কাছে পরামর্শ চাইলো তারা জিজ্ঞেস করছিল কোথা থেকে ডিগ্রি নিতে হবে এই জাতীয় বিষয় কারণ স্পষ্টতই তারা এমন কাউকে জিজ্ঞেস করবে যে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে আর তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদেরকে খারাপ পরামর্শ দিচ্ছিলেন আপনি অবাক হয়ে ভাবছেন কেন তিনি খারাপ পরামর্শ দিবেন ও কারণ এই তরুণ প্রজন্মকে আমি যদি ভালো পরামর্শ দেই আমি ইতিমধ্যেই দেখতে পাচ্ছি
যে 20 বছরের এই তরুণ আমার 20 বছর বয়সের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বুদ্ধিমান তো সে পাঁচ বছরের ব্যবধানে আমার দ্বিগুণ সফলতা লাভ করবে যা অর্জন করতে আমার 20 বছর লেগেছে সে সেটা তিন বছরে করে ফেলবে আমি এই ধরনের প্রতিযোগিতা চাই না আমি তাকে খারাপ পরামর্শ দিব যাতে যথাসম্ভব তার অগ্রগতিকে ধীরগতি করে দিতে পারি এটা খুবই কমন একটা মুসলিম মানসিকতা আর যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই মানসিকতা থাকবে সর্বশেষ এই বিষয়টি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই মানসিকতা থাকবে আমরা ক্ষমতা অর্জন করতে পারবো না আমরা এই আয়াতের অনুসরণ করতে পারবো
না আমাদের শত্রুরা সবচেয়ে শক্তিশালী যে আঘাতটা করে তা সম্ভবত বোমা নিক্ষেপ নয় আমাদের শত্রুদের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণ মিডিয়া নয় আমাদের শত্রুদের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণটা হলো তারা আমাদেরকে পরস্পরের মিত্র হওয়া থেকে বিরত রাখে কারণ তারা জানে যে মুসলিমরা একবার একে অপরের মিত্র হয়ে গেলে এটুকুই যথেষ্ট এটাই আনতুমুল আলাউন তখন আমরাই শীর্ষে থাকবো তখন কোন কিছুই আমাদেরকে থামাতে পারবে না আমাদের মৈত্রী ছাড়া অন্য কিছু তাদেরকে এতটা ভীতসন্ত্রস্ত করে না তাই তারা মুসলিমদের ভিতরে যত বেশি সম্ভব বিভাজন যত বেশি সম্ভব সন্দেহ যত বেশি সম্ভব প্রতিযোগিতা যতটা
সম্ভব ঘৃণা সৃষ্টি করে যতটা সম্ভব ঘৃণা সৃষ্টি করে এর জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে তাই আমরা পাশের মসজিদটিকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না আমরা অন্য শায়েখকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না এই শায়েখ বনাম সেই শায়েখ এটা রেসলিং খেলার জায়গা না ভাই এটা রেসলিং না এটা রেসলিং না আর যতদিন পর্যন্ত আমরা বারবার বারবার বারবার এই ফাঁদে আটকা পড়তে থাকবো আমরা কাঁদতেই থাকবো আর আমাদের এই কান্না কেউই শুনবে না কারণ আমরা কখনোই ক্ষমতা তৈরি করিনি আমরা কখনোই ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হইনি আর আমাদেরকে একে অপরের প্রকৃত মিত্র হিসেবে প্রস্তুত করুন এখন থেকে যখন আপনি জুমার নামাজ পড়তে আসবেন
আপনি তো প্রতি সপ্তাহেই আসবেন এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ কেউ আপনাকে ইমেইল পাঠাবে না আপনি নিজেই নিজেই আসবেন প্রতি সপ্তাহে যখন আপনি আসবেন এমন কারো সাথে পরিচিত হবেন যাকে আপনি আগে থেকে চিনতেন না সে কি করে তা জানার চেষ্টা করুন বিশেষত বয়স্করা নিজ উদ্যোগেই তরুণদের সাথে পরিচিত হবেন নতুন কারো সাথে পরিচিত হবেন জানার চেষ্টা করবেন তার কি সাহায্য প্রয়োজন এমনকি যদি আপনারা পরস্পরকে 1% সাহায্য করতে পারেন কখনো সাহায্য হতে পারে শুধু পরাম কখনো সাহায্য হতে পারে আপনি কাউকে অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন সামান্য একটি প্রচেষ্টা আপনারা
কল্পনা করতে পারবেন না যে এক বছরের ভিতরে এই সমাজটি কতটা শক্তিশালী সমাজে পরিণত হবে কল্পনা করতে পারেন এক বছরের মধ্যে আপনি যখন রাস্তায় হাঁটবেন প্রত্যেককেই আপনি চিনবেন এটা কি অসম্ভব এটা মোটেও অসম্ভব না কিন্তু আমরা উলাইয়া নিয়ে চিন্তা করছি না সেজন্যই এটা ঘটছে না আসসালামু আলাইকুম বলে যত দ্রুত জুতা নিয়ে বাইরে চলে যাব এরকম হলে চলবে না এর পরিবর্তে প্রত্যেক সপ্তাহকেই মৈত্রী তৈরি সম্পর্ক তৈরির নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন এখানকার ক্যারিয়ারে সফল প্রত্যেক ব্যক্তি জানে যে আপনার ক্যারিয়ার আপনার ব্যবসার সফলতার মূলে রয়েছে নেটওয়ার্ক তাই না
কয়েকশো নেটওয়ার্ক কখনো কয়েক হাজার নেটওয়ার্ক প্রতি সপ্তাহে চোখের সামনে থাকে এটা একটা মুসলিম সমাবেশ যা প্রতি সপ্তাহে আল্লাহ আপনার জন্য আয়োজন করেছেন যাতে মুসলিমরা পৃথিবীর বুকের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে আমরা শুধু এটা ব্যবহার করছি না আল্লাহ আজ্জাজাল্লা আমাদেরকে তার প্রত্যাশিত উম্মাহতে পরিণত করুন এবং এই উম্মাহকে বিজয় দান করুন বারাকাল্লাহু হাকিমরিল হাকিম আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ [মিউজিক]